গল্প

গল্প বৈশাখী উপহার

ইচ্ছেপাখি

বৈশাখী উপহার

ইচ্ছেপাখি

লেখক : চণ্ডীচরণ দাস

ঘুমটা ভাঙতেই চোখ খুলে নীলিমা দেখে বেশ বেলা হয়ে গেছে, রান্নাঘর থেকে বৌমার বাসন ধোয়ার টুঙটাঙ শব্দ কানে আসছে৷ ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল কর্তার এখনো ঘুম ভাঙেনি৷ একবার বাথরুমে যেতে হবে, কিন্তু কে নিয়ে যাবে তাকে? ভাবল ছেলেকে ডাকবে, কিন্তু ওর তো এখনো ঘুম থেকে ওঠার সময়ই হয়নি৷ তবে কি বৌমাকে ডাকবে? ডাকলে আসবে হয়তো ব্যাজার মুখে, কিন্তু শোনাবে পঞ্চাশটা কথা—এইটুকু উঠে বাথরুমে যেতে পারেন না? অথবা—খেয়েখেয়ে যা গতরখানা বাগিয়েছেন, শরীরের এই অবস্থা তো হবেই৷ অথবা—কতবার বলি একটু ব্যায়াম-ট্যায়াম করুন, আমার কথা তো কানেই তোলেন না৷ নয়তো বলবে—আমার আর কাজ নেই, আপনাকে নিয়েই পড়ে থাকি৷ তারপর ধরে তুলতে তুলতে বলবে—এই ধুমসো গতর তোলা কি আমার কম্ম? পড়ে গিয়ে একদিন নিজেও মরবেন, আমাকেও মারবেন৷ এমনকি ঐ কাজের মেয়েটাও কম যায় না৷ কোনোদিন একটু ডাকলে মুখ বাঁকিয়ে গুচ্ছের কথা শুনিয়ে দেয়। বলে—আমি পারবনি মাসী, ওই চালের বস্তা তোলার মত খেমতা এই রোগা হাড়ে নাই৷ দু’জনের কথাগুলো কানে গরম শলাকার মত ঢোকে নীলিমার, কিন্তু সহ্য করে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই৷ এই বাতগ্রস্ত শরীর নিয়ে ওদের সাহায্য ছাড়া একটুও ওঠাবসা করার ক্ষমতা যে নেই তার৷ কর্তার দিকে চেয়ে বড্ড মায়া হল৷ আগে ও-ই তাকে ধরে ধরে নিয়ে যেত বাথরুমে, বসিয়ে দিত বারান্দাটার চেয়ারে৷ কিন্তু এখন বলতে ভয় হয়৷ সবে স্ট্রোক থেকে সেরে উঠেছে, ফিজিও থেরাপিষ্ট দিয়ে অনেক মেহনৎ করে বাঁ হাত-পাটা ঠিক হয়েছে৷ ওর শরীরে আগের সেই ক্ষমতা নেই৷ ও ভাল থাকলে আর অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হত না৷
আয়াটাও হয়েছে তেমনি৷ কতবার বলা হয়েছে—একটু তাড়াতাড়ি আয়, সন্ধ্যায় নয়তো একটু আগে চলে যাস৷ কিন্তু তাড়াতাড়ি তো দূরের কথা, মহারাণী একেকদিন আসতে সাড়ে আটটা-ন’টা বাজিয়ে দেবে৷ এসে আবার নির্লর্জের মত বলবে—একটু দেরী হয়ে গেল মাসী, রাস্তায় যা জ্যাম......!
নাঃ, আর সামলাতে পারছে না নীলিমা৷ ডাক দিল, “বৌমা, এস না একটু, বাথরুমে যাব৷”
বৌমা শুনেও শুনল না৷ পরিবর্তে রান্নাঘরের আওয়াজ আরও বেড়ে গেল৷
আবার ডাকল, “ও বৌমা, একবারটি এস না, আর যে পারছি না৷”
নিরঞ্জনের ঘুম ভেঙে গিয়েছিল৷ আস্তে আস্তে উঠে বসে বলল, “চল, আমি নিয়ে যাচ্ছি৷”
নীলিমা কর্তাকে ধমকে উঠল, “একদম উঠবে না তুমি৷ আমাকে ধরতে গিয়ে শেষে পড়ে গিয়ে আমিও মরব, তুমিও মরবে৷”
ইতিমধ্যে রান্নাঘর থেকে কোমরে কাপড় জড়িয়ে গজগজ করতে করতে শুভার আগমন, “আমি একা হাতে কতদিক সামলাই বলুন তো? ওর অফিসের রান্না, বিল্টুর ইস্কুল, আবার আপনাদের সেবা, কোনটা করব? আমিও তো একটা মানুষ!”
নীলিমা মনে মনে বলল—শ্বশুর-শাশুড়ীর সেবা করে তো উল্টে যাচ্ছিস ছুঁড়ি! তাহলে আর আয়া রাখতে হত না৷ ডেকে ডেকে কালেভদ্রে একবার আসে, আর তাতেই মুখের বাহার দেখ, লোকে শুনলে বলবে কতই না খাটছে শাশুড়ীর পিছনে৷ কিন্তু মুখে কিছু বলল না, বললে যেটুকু বা করছে সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে৷ বৌমার কাঁধে ভর দিয়ে নীলিমা পা-পা করে অথর্ব শরীরটাকে বয়ে নিয়ে গেল বাথরুমে৷ প্রাতঃকৃত্য সেরে মুখহাত ধুয়ে আবার বৌমার সাহায্যে ঘরে এসে বারান্দার চেয়ারটায় হেলান দিয়ে বসল৷
ওদিকে নিরঞ্জনও আস্তেআস্তে উঠে বাথরুমের কাজ সেরে এসে বসল নীলিমার পাশে৷ তারপর শুভা চা এনে দিতে দু’জনে খেতে খেতে কথা বলতে লাগল৷ খানিক পরে আয়া এসে যথারীতি লেগে গেল বিছানা গুছানো, ঘর পরিস্কার ও অনান্য কাজে৷ নীলিমা নিশ্চিন্ত হল, এবার দিনটা অন্তত ঠিকঠাক কাটবে, ডেকে ডেকে কাউকে তোষামোদ করতে হবে না৷

আজকাল রাতে তাড়াতাড়িই খাওয়া হয়ে যায় দু’জনের৷ স্ট্রোক থেকে সেরে ওঠার পরে নিরঞ্জনকে অনেক নিয়মে চলতে হয়, তাড়াতাড়ি খেয়ে নিতে হয়৷ নীলিমাও স্বামীর সঙ্গেই খেয়ে নেয়৷ আয়া তাদের দু’জনকে খাইয়ে-দাইয়ে বিছানা রেডি করে দিয়ে চলে যায়৷ তারপর বিছানায় বসে বসে নীলিমা খানিকক্ষণ হাতে পায়ে তেল মালিশ করে শুতে যায়৷ কিন্তু ঘুম কি আর চট করে আসে? হাজারো চিন্তা ভীড় জমায় মনে৷
সেদিনও বিছানায় শুয়ে যথারীতি চিন্তার সাগরে ডুবে গেল নীলিমা৷ ভাবতে লাগল—দিনদিন দু’জনের শরীরের যা অবস্থা হচ্ছে, কবে কার কী হয়ে যায় ঠিক নেই৷ ওর তো একবার স্ট্রোক হয়েই গিয়েছে, মরতে মরতে বেঁচে উঠেছে। আবার যদি স্ট্রোক হয় তো সেরে ওঠা মুশকিল৷ আর তার নিজেরও প্রায় একই অবস্থা৷ বাতে দিনদিন যেভাবে শরীরের গাঁঠগুলো আড়ষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ব্যথা বেড়ে যাচ্ছে, আর কিছুদিন বাদে শরীর নিয়ে হয়তো উঠতেই পারবে না৷ কতদিন বাথরুমে, ঘরের মেঝেতে পড়ে গিয়েছে, ভাগ্যিস তেমন চোট লাগেনি৷ এবার যদি পড়ে, হাত, পা নাহলে হিপ ভেঙে পড়ে থাকবে, আর উঠতে হবে না, সেই অবস্থায়ই মরতে হবে৷
একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল নীলিমার৷ ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল কর্তা চুপ করে চোখ বুজিয়ে শুয়ে৷ জিজ্ঞেস করল, “কিগো, ঘুমিয়ে পড়লে?
” নিরঞ্জন চোখ খুলে বলল, “না, ঘুম আসছে না৷”
“জান, একটা কথা খালি মনে হয়৷”
“কী কথা?”
“আমাদের দু’জনেরই শরীরের যা অবস্থা, কখন যে কার কী হয়ে যায় ঠিক নেই৷”
“হ্যাঁ, তা ঠিক৷”
“খুব ভয় করে গো৷”
“কেন?”
“তোমার যদি আগে কিছু হয়ে যায়, আমার কী অবস্থা হবে? একটা দিনও বাঁচব না আমি৷”
“অমন কথা বোলো না৷ একজনকে না একজনকে আগে তো যেতে হবেই৷ আর আমার যা শরীরের অবস্থা আমাকেই আগে যেতে হবে৷ তাবলে কি তুমি বাঁচবে না? মরব বললেই কি আর মরা যায়? যতদিন আয়ু আছে ঘসটে ঘসটে বেঁচে থাকতে হবে৷”
“না, আমি পারব না এই অবস্থায় তোমাকে ছেড়ে থাকতে৷ ভগবান যেন আগে আমাকে তুলে নেয়৷” বলে নীলিমা চোখ মুছতে লাগল৷
নিরঞ্জনের গলাটা ভারি হয়ে এল৷ “তুমি আমাকে ছেড়ে থাকতে পারবে না, আর আমি বোধহয় খুব আরামে থাকব তুমি চলে গেলে? কক্ষনো নয়৷ তোমার ভালবাসার জোরেই এ যাত্রায় বেঁচে উঠলাম৷ ভগবানকে জানাই আমি যেন এবার তোমার বুকে মাথা রেখেই চলে যেতে পারি৷ তুমি ছেলে, বৌ, নাতি-নাতনি নিয়ে থাক, পরে এসো৷” নীলিমা তাড়াতাড়ি হাতটা বাড়িয়ে তার মুখে চাপা দিল৷ বলল, “এরকম অলুক্ষুনে কথা একদম বলবে না৷ বরং নানা লোকের অকথা-কুকথা, গালমন্দ, মুখ বাঁকানি সহ্য করে বেঁচে থাকার থেকে আমার আগে চলে যাওয়াই ভাল৷ তুমি তো মোটামুটি সেরে উঠেছ। কিছুদিন থাক সবাইকে নিয়ে৷”
“না, তোমাকে ছেড়ে আমার যক্ষপুরী আগলে বসে থাকার মোটেও ইচ্ছে নেই৷”
খানিক নিস্তব্ধতা৷ তারপর নীলিমা ধীরেধীরে বলল, “তাই তো ভগবানকে জানাই যেন আমাদের দু’জনকেই একসঙ্গে তুলে নেয়৷”
দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল নিরঞ্জনের৷ “সে ভাগ্য কি আর আমাদের হবে? সে হবার নয়৷”
“কেন হবার নয়? কতবার তো খবরের কাগজে দেখেছি—স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে মরেছে, কখনো বা একটু আগে পিছে ভগবান দু’জনকেই তুলে নিয়েছে৷”
“সে দৈবাৎ কখনো হয়, সচরাচর হয় না৷”
“আমাদের যেন সেইরকমটা হয় গো৷” বলে নীলিমা স্বামীর হাতটা চেপে ধরল৷
“নাও, অনেক রাত হল, এবার ঘুমিয়ে পড়৷”
“হ্যাঁ, তুমিও ঘুমাও, আর জেগে থেকো না, শরীর খারাপ করবে৷”

একে অপরের হাতে হাত রেখে অন্তিমযাত্রার কথা বলতে বলতে আর ভগবানের কাছে যুগলে যাওয়ার ইচ্ছা জানাতে জানাতে কখন যে ঘুম এসেছিল কে জানে৷ রাতে নীলিমা দেখল এক অদ্ভুৎ স্বপ্ন—সে আর নিরঞ্জন দু’জনে আকাশে পাশাপাশি উড়ে চলেছে পাখির মত৷ তাদের ডানা নেই, কিন্তু শরীরটা হয়ে গেছে পালকের মত হালকা৷ নীচে পড়ে আছে এই পৃথিবীটা, এর মানুষজন, আর সামনে অনন্ত উন্মুক্ত আকাশ—যার কোনো শেষ নেই, আদি নেই, অন্ত নেই৷ কোনো বাধাবন্ধন নেই, দুঃখশোক নেই, পিছুটান নেই৷ নেই বাতগ্রস্ত শরীরটাকে বয়ে বেড়াবার কষ্ট, নেই দিনযাপনের গ্লানি, আর নেই ভবিষ্যৎ দুর্গতির চিন্তা৷ সবকিছু পিছনে ফেলে দু’জনে হাতে হাত ধরে কেবল উড়েই চলেছে। হৃদয়ে জেগে উঠছে এক অলৌকিক আনন্দের অনুভূতি, হচ্ছে এক স্বর্গীয় উপলব্ধি৷
উড়তে উড়তে হঠাৎ তার হাতটা ছেড়ে গেল নিরঞ্জনের হাত থেকে, আর সে পড়ে যেতে লাগল নীচে৷ ভয়ে চেঁচিয়ে উঠল নীলিমা—ওগো, কোথায় তুমি? আমি যে পড়ে যাচ্ছি, আমাকে ধর৷ ওদিক থেকে নিরঞ্জনও চেঁচিয়ে উঠল—এই যে আমি, ধর আমাকে৷ বলে তার হাতটা বাড়িয়ে দিল৷ চেঁচাতে চেঁচাতে প্রাণপণে হাতটা ধরার চেষ্টা করতে লাগল নীলিমা, কিন্তু কিছুতেই ধরতে পারে না, একটু ছোঁয়া লেগেই আবার দূরে চলে যায়৷ শরীরটা হঠাৎ মনে হতে লাগল প্রচণ্ড ভারি, আর উড়তে পারছে না, সবেগে নেমে আসছে নীচে, বিনাশের অতল গহ্বরে৷ বুক ফেটে কান্না বেরিয়ে আসতে লাগল, ছটফট করতে লাগল ভয়ে৷ এইভাবে শূন্যে নামতে নামতে নীলিমা শেষে আছড়ে পড়ল পৃথিবীর কঠিন মাটিতে, ‘মাগো’ বলে প্রচণ্ড জোরে কেঁদে উঠল৷
‘কোথায় তুমি?’ বলে ঘুমের ঘোরে বিছানা হাতড়াতে লাগল৷ কিন্তু নিরঞ্জনকে পেল না, বিছানা খালি৷ ঘুম ভেঙে গেল নীলিমার। গোটা শরীরটা কাঁপছিল, বুকটা ধড়াস ধড়াস করছিল, ঘামে একেবারে নেয়ে গিয়েছে শরীর৷ হাত বাড়িয়ে ধরতে গেল নিরঞ্জনকে, কিন্তু পেল না৷ চোখ খুলে মুখ ঘুরিয়ে দেখে বিছানায় কেউ নেই৷ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল রাত তিনটে বাজে৷ আশ্চর্য হল, কোথায় গেল ও? রাতে তো সাধারণতঃ ওঠে না, উঠলেও ঠেলা মেরে বলে যায়৷ তাহলে?
ঘসটে ঘসটে ভারি শরীরটাকে টেনেটেনে কোনোরকমে বিছানার ধারের দিকে নিয়ে গিয়ে নীচে তাকিয়ে দেখে তো নীলিমার চক্ষুস্থির৷ মেঝেতে হাত-পা ছড়িয়ে নিঃসাড়ে পড়ে রয়েছে নিরঞ্জন৷ মুখটা বাঁদিকে কাত হয়ে ঝুলে আছে, জিভটা একটু বেরিয়ে এসেছে, নাক দিয়ে গড়িয়ে এসেছে লাল রক্ত, শরীরে কোনো সাড় নেই৷ ব্যাপারটা বুঝতে বাকী রইল না নীলিমার৷ হাত দু’টো বাড়িয়ে নামার ব্যর্থ চেষ্টা করে আতঙ্কে চিৎকার করে উঠল, “একি হল তোমার গো? তুমি এভাবে একলা চলে যেতে পার না!”
হঠাৎ ‘ধুপ’ করে একটা শব্দ, ‘মাগো’ বলে গগণভেদী চিৎকার, তারপর নিরবচ্ছিন্ন নিস্তব্ধতা৷ (৪) সকালে রান্নাঘরে কাজ করতে করতে শুভার কেমন যেন লাগল৷ এত বেলা হয়ে গেল, অথচ এখনো পর্যন্ত শ্বশুরমশাইয়ের সাড়াশব্দ নেই, আর শাশুড়ীরও চিল চিৎকার কানে আসছে না৷ এমন তো কখনো হয় না৷ ভাবল আজ হয়তো দু’জনের ঘুম এখনো ভাঙেনি৷ আপন মনে রান্নার কাজ করতে লাগল সে৷ আরও আধঘণ্টা কেটে গেল, অথচ ওঘর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে শুভার মনে একটু খটকা লাগল৷ ভেজা হাতটা কাপড়ে মুছতে মুছতে শাশুড়ীর ঘরে গিয়ে ভেজানো দরজাটা ঠেলে মুখ বাড়িয়ে দেখে বিছানা শূণ্য, দু’জনের কেউ নেই৷ আশ্চর্য হল, গেল কোথায়? হঠাৎ মেঝেতে চোখ পড়তেই চমকে উঠল—দু’জনে পাশাপাশি পড়ে আছে৷ বড় লাইটটা জ্বেলে সামনে গিয়ে দেখল—শ্বশুরমশাইয়ের জিভটা বেরিয়ে, নাক দিয়ে এসেছে রক্তের ধারা, আর শাশুড়ী কুম্ভকর্ণের মত চিৎপটাং হয়ে পড়ে, মাথার নীচে মেঝেতে লাল রক্তের দাগ৷ নাকের কাছে হাত নিয়ে দেখল কারোরই শ্বাস বইছে না৷ চিৎকার করে দরজা ঠেলে দৌড়ে বাইরে গেল সুভা, “ওগো তাড়াতাড়ি এস, দেখ কী কাণ্ড হয়েছে!” অমনি সারা বাড়ীতে হুলুস্থুল পড়ে গেল৷ পাড়াপড়শি হুড়মুড় করে ছুটে এসে ঘরের দৃশ্য দেখে তো অবাক৷ বলতে লাগল—সত্যি, স্বামী-স্ত্রীর এমন ভালবাসা দেখা যায় না, ভাগ্য করে এসেছিল দুজনে৷       

Copyright © 2022 Rupkatha Live. All Rights Reserved. Powered by : Technotrick Systems.